বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

প্রকৃতপক্ষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ এই আল্লাহর অনুসরণ।


﴿وَمَآ ءَاتَىٰكُمُ ٱلرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَىٰكُمۡ عَنۡهُ فَٱنتَهُواْۚ ﴾ [الحشر: ٧] 

অর্থাৎ “আর রাসূল (সাল্লাল্লাহুআলায়হিওয়াসাল্লাম)  তোমাদেরকে যা দেন তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা হতে তোমাদেরকে নিষেধ করেন তা হতে বিরত থাক।” (সূরা হাশ্‌র ৭ আয়াত)

তিনি আরো বলেন,

﴿ وَمَا يَنطِقُ عَنِ ٱلۡهَوَىٰٓ ٣ إِنۡ هُوَ إِلَّا وَحۡيٞ يُوحَىٰ ٤ ﴾ [النجم: ٣، ٤] 

অর্থাৎ “সে মনগড়া কথাও বলে না। তা তো অহী, যা তার প্রতি প্রত্যাদেশ হয়।” (সূরা নাজ্‌ম ৩-৪ আয়াত)

তিনি আরো বলেন,

﴿ قُلۡ إِن كُنتُمۡ تُحِبُّونَ ٱللَّهَ فَٱتَّبِعُونِي يُحۡبِبۡكُمُ ٱللَّهُ وَيَغۡفِرۡ لَكُمۡ ذُنُوبَكُمۡۚ ﴾ [ال عمران: ٣١] 

অর্থাৎ “বল, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমার অনুসরণ কর। ফলে আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করবেন।” (সূরা আলে ইমরান ৩১ আয়াত)

তিনি অন্যত্র বলেছেন,

﴿ لَّقَدۡ كَانَ لَكُمۡ فِي رَسُولِ ٱللَّهِ أُسۡوَةٌ حَسَنَةٞ لِّمَن كَانَ يَرۡجُواْ ٱللَّهَ وَٱلۡيَوۡمَ ٱلۡأٓخِرَ ﴾ [الاحزاب: ٢١] 

অর্থাৎ “তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালকে ভয় করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে তাদের জন্য রাসূলুল্লাহর (চরিত্রের) মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে।” (সূরা আহযাব ২১ আয়াত)

তিনি আরো বলেন,

﴿ فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤۡمِنُونَ حَتَّىٰ يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيۡنَهُمۡ ثُمَّ لَا يَجِدُواْ فِيٓ أَنفُسِهِمۡ حَرَجٗا مِّمَّا قَضَيۡتَ وَيُسَلِّمُواْ تَسۡلِيمٗا ٦٥ ﴾ [النساء: ٦٥] 

অর্থাৎ “কিন্তু না, তোমার প্রতিপালকের শপথ! তারা বিশ্বাসী (মু’মিন) হতে পারবে না; যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের নিজেদের বিবাদ-বিসম্বাদের বিচারভার তোমার উপর অর্পণ না করে, অতঃপর তোমার সিদ্ধান্ত সম্বন্ধে তাদের মনে কোন দ্বিধা না থাকে এবং সর্বান্তঃকরণে তা মেনে নেয়।” (সূরা নিসা ৬৫ আয়াত)

তিনি আরো বলেন,

﴿فَإِن تَنَٰزَعۡتُمۡ فِي شَيۡءٖ فَرُدُّوهُ إِلَى ٱللَّهِ وَٱلرَّسُولِ﴾ [النساء: ٥٩] 

قَالَ العلماء : معناه إِلَى الكتاب والسُنّة،

অর্থাৎ “আর যদি কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মতভেদ ঘটে, তাহলে সে বিষয়কে আল্লাহ ও রাসূলের দিকে ফিরিয়ে দাও।” (ঐ ৫৯ আয়াত)

আলেমগণ বলেন, এর অর্থ হল: কিতাব ও সুন্নাহর দিকে ফিরিয়ে দাও।

তিনি আরো বলেন,

﴿ مَّن يُطِعِ ٱلرَّسُولَ فَقَدۡ أَطَاعَ ٱللَّهَۖ وَمَن تَوَلَّىٰ فَمَآ أَرۡسَلۡنَٰكَ عَلَيۡهِمۡ حَفِيظٗا ٨٠ ﴾ [النساء: ٨٠] 

অর্থাৎ “যে রাসূলের আনুগত্য করল, সে আসলে আল্লাহরই আনুগত্য করল।” (ঐ ৮০ আয়াত)

তিনি অন্যত্রে বলেছেন,

﴿ وَإِنَّكَ لَتَهۡدِيٓ إِلَىٰ صِرَٰطٖ مُّسۡتَقِيمٖ ٥٢ صِرَٰطِ ٱللَّهِ ﴾ [الشورا: ٥٢، ٥٣] 

অর্থাৎ “আর নিশ্চয়ই তুমি সরল পথ প্রদর্শন কর---সেই আল্লাহর পথ----।” (সূরা শুরা ৫২ আয়াত)

তিনি আরো বলেন,

﴿ فَلۡيَحۡذَرِ ٱلَّذِينَ يُخَالِفُونَ عَنۡ أَمۡرِهِۦٓ أَن تُصِيبَهُمۡ فِتۡنَةٌ أَوۡ يُصِيبَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٌ ﴾ [النور: ٦٣] 

অর্থাৎ “সুতরাং যারা তার আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে তারা সতর্ক হোক যে, বিপর্যয় অথবা কঠিন শাস্তি তাদেরকে গ্রাস করবে।” (সূরা নূর ৬৩ আয়াত)

তিনি আরো বলেন,

﴿ وَٱذۡكُرۡنَ مَا يُتۡلَىٰ فِي بُيُوتِكُنَّ مِنۡ ءَايَٰتِ ٱللَّهِ وَٱلۡحِكۡمَةِۚ ﴾ [الاحزاب: ٣٤] 

অর্থাৎ “আল্লাহর আয়াত ও জ্ঞানের কথা যা তোমাদের গৃহে পঠিত হয়, তা তোমরা স্মরণ রাখ।” (সূরা আহযাব ৩৪ আয়াত)

হাদীসসমূহ:

১/১৬০। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আমি যে ব্যাপারে তোমাদেরকে (বর্ণনা না দিয়ে) ছেড়ে দিয়েছি, সে ব্যাপারে তোমরা আমাকে ছেড়ে দাও (অর্থাৎ সে ব্যাপারে আমাকে প্রশ্ন করো না)। কারণ, তোমাদের পূর্ববর্তীরা তাদের অধিক প্রশ্ন করার এবং তাদের নবীদের সঙ্গে মতভেদ করার ফলে ধ্বংস হয়ে গেছে। সুতরাং আমি যখন তোমাদেরকে কোন জিনিস থেকে নিষেধ করব, তখন তোমরা তা হতে দূরে থাক। আর যখন আমি তোমাদেরকে কোন কাজের আদেশ দেব, তখন তোমরা তা সাধ্যমত পালন কর।’’[1] (বুখারী ও মুসলিম)

[1] নাসায়ী ১৭১৯, ১৭২০, ১৭২১, ১৭২২, ১৭২৩, ১৭২৪, ১৭২৫, ১৭৮৯, ২১৭৭, ২১৭৮, ২১৭৯, ২৬১৯, আবূ দাউদ ২৪৩৪ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

নবী পাক জিন্দা তার দলিল

“প্রত্যেক প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে।”
(সুরা আলে ইমরান,আয়াত ১৮৫)

নবী – রাসুলগণ (আলাইহিস সালাম) এর মৃত্যু হয়েছে এ নিয়ে কোন দ্বন্দ্ব নেই।

আবার আল্লাহ তায়ালা বলেন:–

ﻭَﻻَ ﺗَﻘُﻮﻟُﻮﺍْ ﻟِﻤَﻦْ ﻳُﻘْﺘَﻞُ ﻓِﻲ ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃَﻣْﻮَﺍﺕٌ ﺑَﻞْ ﺃَﺣْﻴَﺎﺀ
ﻭَﻟَﻜِﻦ ﻻَّ ﺗَﺸْﻌُﺮُﻭﻥَ ( ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ 154 – )

আল্লাহর পথে যারা শহীদ হয় তাদের তোমরা মৃত বল না।বরং তারা জীবিত।তবে তা তোমরা উপলব্ধি করতে পারো না।
{সূরা বাকারা-১৫৪}

উক্ত আয়াতের স্পষ্ট ভাষ্য থেকে প্রতীয়মান হয় যে,শহীদগণ কবরে জীবিত।

নোট: দেখুন শহীদগণ মৃত্যুর পরেও তারা জীবিত,সুতরাং এইখানে মৃত্যু হচ্ছে ইহকাল থেকে পরকালে যাবার
একটি সেতু ,শহীদগনের অনেক উর্দ্ধে নবীদের স্থান!

আমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর ব্যাপারে আসছে:

ﻛَﻴْﻒَ ﺇِﺫَﺍ ﺟِﺌْﻨَﺎ ﻣِﻦ ﻛُﻞِّ ﺃﻣَّﺔٍ ﺑِﺸَﻬِﻴﺪٍ ﻭَﺟِﺌْﻨَﺎ ﺑِﻚَ ﻋَﻠَﻰ ﻫَـﺆُﻻﺀ
ﺷَﻬِﻴﺪًﺍ

“তবে কেমন হবে যখন আমি (আল্লাহ) প্রত্যেক উম্মত থেকে একজন সাক্ষী উপস্থিত করবো, এবং হে মাহবুব! আপনাকে তাদের সবার ব্যাপারে সাক্ষী ও পর্যবেক্ষণকারীস্বরূপ উপস্থিত করবো?” (৪:৪১)

মহানবী,( ﷺ ) যা জানেন না বা দেখেননি সে সম্পর্কে তো তাঁকে সাক্ষ্য দেয়ার জন্যে বলা হবে না।

ﻭَﺍﻋْﻠَﻤُﻮﺍ ﺃَﻥَّ ﻓِﻴﻜُﻢْ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ

“এবং জেনে রেখো,তোমাদের মধ্যে
আল্লাহর রাসূল,
( ﷺ)
রয়েছেন” (৪৯:৭)।

ْ ﻭَﺳَﻴَﺮَﻯ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻋَﻤَﻠَﻜُﻢْ ﻭَﺭَﺳُﻮﻟُﻪُ ,

“অতঃপর তোমাদের কার্যকলাপ প্রত্যক্ষ করবেন আল্লাহ ও তাঁর রাসূল,( ﷺ)” [৯:৯৪]

ﻭَﻗُﻞِ ﺍﻋْﻤَﻠُﻮﺍْ ﻓَﺴَﻴَﺮَﻯ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻋَﻤَﻠَﻜُﻢْ ﻭَﺭَﺳُﻮﻟُﻪُ ﻭَﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨُﻮﻥَ
ﻭَﺳَﺘُﺮَﺩُّﻭﻥَ ﺇِﻟَﻰ ﻋَﺎﻟِﻢِ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻭَﺍﻟﺸَّﻬَﺎﺩَﺓِ ﻓَﻴُﻨَﺒِّﺌُﻜُﻢ ﺑِﻤَﺎ
ﻛُﻨﺘُﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻠُﻮﻥَ ( 105

এবং “আপনি বলুন: আমল করে যাও; অতঃপর তোমাদের আমল প্রত্যক্ষ করবেন আল্লাহ ও তাঁর রাসূল,
( ﷺ ) এবং মো’মেন
মুসলমানবৃন্দ” (৯:১০৫)

নোট: সুতরাং যিনি মৃত্যুুর পরেও উম্মতের আমলনামা প্রত্যক্ষ করবেন!

ইবনুল কায়্যিম:- লিখেন যে- “যদিও হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রূহ মোবারক হযরত আম্বীয়ায়ে কেরাম আলাইহিমুস সালাম-এর রূহের সাথে রফীকে আলায় এ রয়েছেন,কিন্তু এতদ্বসত্বেও তাঁর রূহ মোবারক তাঁর শরীর মোবারকের সাথে সম্পর্ক রয়েছে,যে কারণে তিনি সালাম দাতার উত্তর দিয়ে থাকেন
(যাদুল মা’আদ খন্ড:- ২, পৃঃ ৪৯)

“সহীহ হাদিসের আলোকে“ হায়াতুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)

হযরত মূসা (আলাইহিস সালাম) ও অন্যান্য আম্বিয়া (আলাইহিস সালাম)-বৃন্দ তাঁদের মাযার-রওজায় জীবিতাবস্থায় বর্তমান।

★দলিল:-০১

হযরত আনাস বিন মালেক (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস, যিনি বলেন: “আমি আগমন করি”; আর হযরত হাদ্দিব(রাদ্বিয়াল্লাহু অানহু)-এর বর্ণনায় হাদীসের কথাগুলো ছিলো এ রকম–

“মে’রাজ রজনীতে ভ্রমণের সময় আমি লাল টিলার সন্নিকটে হযরত মূসা (আলাইহিস সালাম)-কে অতিক্রমকালে তাঁকে তাঁর রওযা শরীফে নামায আদায়রত অবস্থায় দেখতে পাই।
[সহীহ মুসলিম,বই নং ৩০, হাদীস নং–৫৮৫৮]

★দলিল:-০২

হযরত আনাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,আমি নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে কা’বা শরীফ তাওয়াফ করছিলাম।আমি দেখলাম,আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কারো সাথে মুসাফাহা করলেন,অথচ আমি কাউকে দেখলামনা।
আমরা বললাম,হে আল্লাহর রাসুল,
আপনি কারো সাথে মুসাফাহা করলেন,অথচ আমরা তাঁকে দেখলামনা।
হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,“উনি হচ্ছেন আমার ভাই ঈসা ইবনু মারইয়াম।আমি তাঁর
তাওয়াফ শেষ হওয়ার অপেক্ষা করছিলাম,অতঃপর(তাওয়াফ শেষ হলে) আমি তাঁকে সালাম দিলাম।
রেফারেন্সঃ
(তাফসীরে রুহুল মা’আনী-১১/২১৮)

বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাকার ইমাম
কাস্তাল্লানী রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
“এ কথা প্রমাণিত যে,আম্বিয়ায়ে কেরাম হজ্জ করেন এবং তালবিয়াহ পাঠ করেন”।
রেফারেন্সঃ
(যারকানী ‘আলাল মাওয়াহিবঃ৭/৩৬৫, ১১/৩৬৭)

★দলিল:- ০৩

অতঃপর আমি মসজিদটির কিবলার দিকে এলাম।তারপর তিনি ওখানে বুরাকটি বাঁধলেন।তারপর আমি বাইতুল মুকাদ্দাসের মুসজিদে-আকসায় ঢুকলাম।অতঃপর আমার সামনে নবীদের জমায়েত করা হল।তারপর জিবরীল আমাকে এগিয়ে দিলেন। পরিশেষে আমি তাঁদের ইমামতি করলাম।
(তফসীর ইবনে কাসীর,৩য় খণ্ড,৭মপৃষ্ঠা)

★দলিল:- ০৪

বাইহাকীর বর্ণনায় আছে, পৃথিবীর অতি নিকটবর্তী ফেরেশতার নাম ইসমাঈল।তার সামনে আছে সত্তর হাজার ফেরেশতা।তাঁর প্রত্যেক ফেরেশতার সাথে একলাখ ফেরেশতার বাহিনী আছে।
তিনি বলেন, অতঃপর জিবরীল আকাশটির দরজা খোলার প্রার্থনা করলেন।বলা হলো, কে? তিনি বললেন,জিবরীল।
আবার বলা হলো,আপনার সাথে কে? তিনি বললেন,মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
বলা হয়, তাঁর কাছে লোক পাঠানো হয়েছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ।অতঃপর আদম (আলাইহিস সালাম) কে সেই আকৃতিতে দেখা গেলো যে-আকৃতিতে আল্লাহ তাকে প্রথম দিনে সৃষ্টি করেছিলেন।
(তাফসীর ইবনে কাসীর ৩য় খন্ড,১৩পৃষ্ঠা)।

★দলিল:- ০৫

তারপর আমাদের ২য় আসমানে চড়ানো হলো।অতঃপর জিবরাঈল দরজা খোলার প্রার্থনা করলেন।তখন বলা হল,আপনি কে? তিনি বললেন জিবরীল।বলা হল, আপনার সাথে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।বলা হলো, তার কাছে (দূত) পাঠানো হয়েছে কি? তিনি বললেন, পাঠানো হয়েছে।
অতঃপর আমাদের জন্য দরজা খোলা হলো।হঠাৎ আমি দুই খালাতো ভাইকে পেলাম।তারা হলেন,ঈসা ইবনে মারয়্যাম
এবং ইয়াহ্ইয়া ইবনে যাকারিয়্যা।তারা দু’জন আমাকে স্বাগতম জানালেন এবং আমার ভালোর জন্য দুআ দিলেন।
(মুসলিম,১ম খন্ড,৯১ পৃষ্ঠা)।

★দলিল:- ০৬

তারপর একে একে চতুর্থ আকাশে হযরত ইদ্রিস (আলাইহিস সালাম),পঞ্চম আকাশে হযরত হারুন (আলাইহিস সালাম), ষষ্ঠ আকাশে হযরত মুসা (আলাইহিস সালাম)-এর সাথে সাক্ষাৎ করলেন।তারপর সপ্তম আসমানে হযরত ইব্রাহিম (আলাইহিস সালাম)-এর সাথে সাক্ষাৎ হলে—জিবরীল
(আলাইহিস সালাম) বললেন,ইনি আপনার বংশ পিতা,তাঁকে সালাম করুন।তাই আমি তাকে সালাম দিলাম।তিনিও সালামের জবাব দিলেন এবং বললেন সত্য পুত্র ও সত্য নবীকে স্বাগতম।
তারপর আমাকে সিদ্রাতুল মুন্তাহা পর্যন্ত তোলা হল।অত:পর হঠাৎ দেখলাম, ওর ফলগুলো বড় বড় কলসির মত এবং ওর পাতাগুলো হাতীর কানের মত।তিনি বললেন,এটা সিদ্রাতুল মুন্তাহা।ওখানে ৪টি নদী আছে।দুটি নদী ভেতরমুখী এবং দুটি নদী বাহিরমুখী।আমি বললাম,এ দুটি কি? হে জিবরায়ীল! তিনি বললেন,ভেতরমুখী দুটো জান্নাতের মধ্যকার নদী।আর বাহিরমুখী দু’টি (মিসরের) নীল এবং (ইরাকের) ফোরাত নদী। তারপর আমার জন্য বাইতুল মা’মূরকে তোলা হলো।তারপর আমার কাছে কতিপয় পাত্র আনা হল- মদের পাত্র ও দুধের পাত্র এবং মধুর পাত্র।আমি দুধটাকে গ্রহণ করলাম। জিবরীল বললেন,এটাই তো প্রকৃত স্বভাব যার উপরে আপনি আছেন এবং আপনার উম্মতও আছেন
(বুখারী ও মুসলিম,মিশকাত, ৫২৭পৃষ্ঠা)

★দলিল:- ০৭

আমি আসমানে বাইতুল মামুরে পিট ঠেকিয়ে সুন্দরতম পুরুষের বেশে আমাদের বংশ পিতা হযরত
ইবরাহীম আলাইহিস সালামকে দেখলাম।তার সঙ্গে কিছু লোকও
ছিলো।অতঃপর আমি তাঁকে সালাম দিলাম।তিনিও আমাকে সালাম দিলেন।অতঃপর আমি আমার উম্মতকে দু’টি দলে দেখলাম।
একটি ভাগ এমন যাদের দেহে সাদা কাপড় রয়েছে।তারা যেন
কাগজের মত।আর একটি ভাগ এমন যাদের দেহে ছাইরং কাপড়
রয়েছে।অত:পর আমি বাইতুল মামূরে প্রবেশ করলাম।
(বাইহাকীর দালা-য়িলুন নুবুওঅহ্, ২য় খন্ড- ১৩৯ পৃষ্ঠা)

★দলিল:- ০৮

সুনানে বাগজারে সহিহ সনদে বর্ণিত হাদিস আল্লাহর হাবিব হুজুরপাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
এরশাদ করেন উনার সাহাবিদেরকে,আমার ওফাতের পর তোমরা বিলাপ করে কেঁদোনা। কেননা আমি রাসুল সবার মতো মারা যাবোনা।আমি রাসুল রওজা শরীফ হতে তোমাদের আমল দেখতে পাবো।যখন দেখবো তোমরা ভালো কাজ করছো তখন আমি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করবো আর যখন দেখবো তোমরা খারাপ কাজ করছো তখন আমি তোমাদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবো হযরত আনাস (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেছেন নবীরা কবরে জীবিত।আর তারা সেখানে নামায পড়েন।
{মুসনাদুল বাজ্জার,হাদীস নং- ৬৮৮৮, মুসনাদে আবী ইয়ালা,হাদীস নং-৩৪২৫,
সহীহ কুনুযুস সুন্নাতির নববিয়্যাহ,হাদীস}

মুসলমানদের আকিদা হচ্ছে-রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলমে বরযখে নিজ কবর মুবারকে সশরীরে জীবিত আছেন।তাইতো কোনো মুসলমান দূর থেকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)

এর প্রতি দরূদ ও সালাম পাঠ……..করলে সেই ব্যক্তির পক্ষ
থেকে তা ফেরেশতার মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট পৌঁছানো হয়
এবং তিনি তা গ্রহণ করেন।এছাড়া কেউ রওজা মুবারকের নিকট এসে সালাত ও সালাম পাঠ করলে তা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সরাসরি গ্রহণ করেন। হায়াতুন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর আকিদা ইসলামের দলিল দিয়ে প্রমাণিত। [তথ্যসূত্র: সহিহ মুসলিম,২য় খন্ড, পৃষ্ঠা-১৭৮/সুনানু বাইহাকি, হাদিস:১৫৮৩/সুনানু দারিমি, হাদিস: ২৭ নবীগণ কবরে জীবিত হওয়ার
দলীল।

★দলিল:- ০৯

হযরত আবূ হোরায়রা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর সূত্রে বর্ণিত; মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
এরশাদ ফরমান: “আমি নিজেকে ’হিজর’-এর মধ্যে পেলাম এবং কোরাইশ গোত্র আমাকে মে’রাজের রাতের ভ্রমণ সম্পর্কে নানা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করছিল। আমাকে বায়তুল মাকদিস সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়, যা আমার স্মৃতিতে রক্ষিত ছিল না।এতে আমি পেরেশানগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম; এমন পর্যায়ের পেরেশানির মুখোমুখি ইতিপূর্বে কখনো-ই হইনি।অতঃপর আল্লাহ পাক এটিকে (বায়তুল মাকদিসকে) আমার চোখের
সামনে মেলে ধরেন। আমি তখন এর
দিকে তাকিয়ে তারা (কুরাইশবর্গ) যা যা প্রশ্ন করছিলো সবগুলোরই উত্তর দেই।আমি ওই সময় আম্বিয়া
(আলাইহিস সালাম)-বৃন্দের জমায়েতে নিজেকে দেখতে পাই। আমি হযরত মূসা (আলাইহিস সালাম)-কে নামায পড়তে দেখি।তিনি দেখতে সুদর্শন
(সুঠাম দেহের অধিকারী) ছিলেন,যেন শানু’য়া গোত্রের কোনো পুরুষ।
আমি মরিয়ম তনয় ঈসা মসীহ (আলাইহিস সালাম)-কে দেখি নামায আদায় করতে; সকল মানবের মাঝে তাঁর (চেহারার)সবচেয়ে বেশি সাযুজ্য হলো উরওয়া ইবনে
মাস’উদ আস সাকাফী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর সাথে। আমি হযরত ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)কেও
সালাত আদায় করতে দেখি; মানুষের মাঝে তাঁর (চেহারার)
সবচেয়ে বেশি সাদৃশ্য হলো তোমাদের সাথী (মহানবী স্বয়ং)-এর সাথে।নামাযের সময় হলে পরে আমি তাতে ইমামতি করি।নামায শেষে কেউ একজন
বল্লেন, ‘এই হলেন মালেক (ফেরেশতা),জাহান্নামের রক্ষণাবেক্ষণকারী; তাঁকে সালাম জানান।’আমি তাঁর দিকে ফিরতেই তিনি আমার আগে (আমাকে) সালাম জানান।”
[সহীহ মুসলিম, ১ম খণ্ড, হাদীস নং- ৩২৮; ইমাম হাফেয ইবনে হাজর আসকালানী (রহ:)-ও এটিকে নিজ ‘ফাতহুল বারী’ গ্রন্থের ৬ষ্ঠ খণ্ডের ৪৮৩ পৃষ্ঠায় সমর্থন দিয়েছেন].

★দলিল:- ১০

ইবরাহীম ইবনে শায়বান বলেন: আমি কোনো এক বছর হজ্জ্বে গেলে মদীনা মোনাওয়ারায় মহানবী
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর রওযা শরীফেও যেয়ারত উদ্দেশ্যে যাই।তাঁকে সালাম জানানোর পরে ’হুজরাহ আস্সাআদা’র ভেতর থেকে জবাব শুনতে পাই: ‘ওয়া আলাইকুম আস-সালাম’।
এই বর্ণনা লিপিবদ্ধ করেছেন মোহাম্মদ ইবনে হিব্বান (রহ:)-এর সূত্রে আবূ নু’য়াইম তাঁর কৃত ‘আত্তারগিব’ (পৃষ্টা-১০২) পুস্তকে; ইবনে আন্নাজ্জার নিজ ‘আখবার আল-মদীনা’ গ্রন্থে(১৪৬ পৃষ্ঠা)।ইবনে জাওযী স্বরচিত ‘মুতির আল-গারাম’ বইয়ে (৪৮৬-৪৯৮ পৃষ্ঠা) এটি উদ্ধৃত করেন; আল-ফায়রোযাবাদী এ রেওয়ায়েত তার ‘আল-সিলাত ওয়াল্বুশর’ পুস্তকে (৫৪ পৃষ্ঠা) এবং ইবনে তাইমিয়া নিজ ‘এয়াতেদা’ আল-সীরাত আল-মুস্তাকীম’ গ্রন্থে (পৃষ্ঠা ৩৭৩-৩৭৪) এই বর্ণনা লিপিবদ্ধ করে।

★দলিল:- ১১

হযরত সাইয়্যেদাহ আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) বর্ণনা করেন:
“যে ঘরে মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও আমার পিতা (আবূ বকর–রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-কে দাফন করা হয়,সেখানে যখন-ই আমি প্রবেশ করেছি,তখন আমার মাথা থেকে পর্দা সরিয়ে ফেলেছি এই ভেবে যে আমি যাঁদের জেয়ারতে এসেছি তাঁদের একজন আমার পিতা ও অপরজন আমার স্বামী।কিন্তু আল্লাহর নামে শপথ! যখন হযরত উমর ফারূক (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) ওই ঘরে দাফন হলেন,তখন থেকে আমি আর কখনোই ওখানে পর্দা না করে প্রবেশ করিনি; আমি হযরত উমর (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর প্রতি লজ্জার কারণেই এ রকম করতাম।” [মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল,৬ষ্ঠ
খণ্ড,২০২পৃষ্ঠা,হাদীস- ২৫৭০১]

★দলিল:- ১২

হযরত আম্বিয়া কেরাম আলাইহিমুস সালাম এর কবরের জীবন হুবহু জিবীত থাকা সত্য ও হক্ব।ইমাম বায়হাকী রহমাতুল্লাহি আলাইহি এ বিষয় বস্তুর উপর একটি সহীহ হাদিস বর্ণনা করেছেন।হাফেজ ইবনে হাজার (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) ফতহুল বারী ৬:৩৫২ এবং হাফেজ সাখাবী আলাকওলুল বদী’-১১৬-এ উক্ত হাদিস্কে বিশুদ্ধ সনদ বিশিষ্ট বলেছেন।
এছাড়া আল্লামা সাখাবী(রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) লিখেন যে- আমরা ঈমান রাখি সত্ত্যায়ন করি যে,হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবরে জীবিত এবং তাঁকে রিযিক
দেয়া হয় এবং তাঁর শরীর মোবারক কে মাটি খায়না অর্থাৎ নষ্ট করে না।আর এর উপর উম্মতের ইজমা এবং ইত্তেফাক।
(আলকওলুল বদী’- ১২৫)

★দলিল:- ১৩

হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই বান্দাকে যখন তার কবরে রাখা হয় এবং তার সংগী সাথীরা যখন ফিরে আসতে থাকে,সাথীরা জুতার আওয়াজ শোনা যায় এমন দূরত্বে চলে আসে এমন সময় দুজন ফেরেশতা তার কবরে আগমন করে।উক্ত ব্যক্তিকে বসিয়ে হযরত মুহাম্মদ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে দেখিয়ে জিজ্ঞেস করে, এই ব্যক্তি সম্পর্কে তোমার ধারনা কি।যদি লোকটি ঈমানদার হয় তখন সে বলবে,আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।এ কথা বলার পর ফেরেশতাদ্বয় তখন তাকে বলে,হে বান্দা তুমি তোমার দোযখের ঠিকানাটা দেখে নাও।
তোমার এ সাক্ষীর কারণে মহান আল্লাহ পাক তোমার দোযখের ঠিকানাটাকে বেহেশতের ঠিকানায় পরিণত করে দিয়েছেন।তখন সে ব্যক্তি উভয় ঠিকানাই দেখেতে পাবে।তার কবরকে প্রশস্ত করে দেয়া হবে।আর মৃত্যু ব্যক্তি যদি মুনাফিক অথবা কাফের হয়।তখন তাকে হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দেখিয়ে বলা হবে এ ব্যক্তি সম্পর্কে তোমার অভিমত কি। উত্তরে তখন সে বলবে,আমিতো তার সম্পর্কে কিছুই জানি না লোকেরা তার সম্পর্কে যা সব বলতো আমিও তাই বলতাম।তখন উক্তি ফেরেশতাদ্বয় তাকে বলবে তুমি তাকে জানতেও চাও নাই অথবা পড়েও দেখ নাই।অতঃপর লোহার হাতুড়ী দ্বারা তাকে এমন ভাবে প্রহার করা হবে যে,প্রহারের আঘাতে সে এমন ভাবে চিৎকার করতে থাকবে।জ্বিন ও মানুষ ছাড়া এই চিতকার সবাই শুনতে পারে।
[সহিহ বোখারী,হাদিস নং-১২৫৭ ই.ফা]

★দলিল:- ১৪

হযরত আবু হুরায়রা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত –
মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেন:- যে
ব্যক্তি স্বপ্নে আমাকে দেখলো,সেই আমাকে অচিরেই জাগ্রত অবস্থাতে দেখতে পাবে,শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করতে পারেন না। [সহীহ বোখারী শরীফ -হাদিস নং- ৬৫৯২]

★দলিল:- ১৫

হযরত আনাস (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত।রাসূল (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেছেন-
নবীরা কবরে জীবিত। আর তারা সেখানে নামায পড়েন।
{মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৬৮৮৮, মুসনাদে আবী
ইয়ালা, হাদীস নং-৩৪২৫, সহীহ কুনুযুস সুন্নাতির নববিয়্যাহ,
হাদীস নং-২২}

তবে সেটা বারযাখী জীবন,যা মানুষের জ্ঞানের বাইরে ঐ সালাত দুনিয়াবী সালাতের সাথে তুলনীয়
নয়।

★দলিল:- ১৬

হযরত আবু দারদা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত।রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-তোমরা জুমআর দিন বেশি বেশি করে দুরুদ পড়।নিশ্চয় ফেরেস্তারা এর উপর স্বাক্ষী থাকে। আর যখন কেউ আমার উপর দুরুদ পড়ে তখনই তা আমার নিকট পেশ করা হয়।আবু দারদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন-আমি জিজ্ঞাসা করলাম-মৃত্যুর পরেও কি তা পেশ করা হবে?
উত্তরে তিনি বললেন-হ্যাঁ!,কেননা আল্লাহ তায়ালা জমিনের জন্য নবীগণদের দেহ ভক্ষণ করা হারাম করে দিয়েছেন।
{ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৬৩৭,
১৬৩৬, সুনানুস সাগীর লিল বায়হাকী, হাদীস নং-৪৬৯,আল
মুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৪৭৮০, সুনানে দারেমী, হাদীস
নং-১৫৭২,মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৩৪৮৫,মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৫৭৫৯}

★দলিল:- ১৭

আবূ ইয়ালার ‘মুসনাদ’ গ্রন্থে ও ইমাম বায়হাকী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)-এর ‘হায়াত আল-আম্বিয়া’ পুস্তকে হযরত আনাস (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)
থেকে বর্ণিত আছে যে নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
এরশাদ ফরমান:
’আম্বিয়া (আলাইহিস সালাম) তাঁদের মাযার-রওযায় জীবিত আছেন
এবং তাঁরা (সেখানে) সালাত আদায় করেন’।”
[ইমাম সূয়ুতী কৃত ‘আল-হাওয়ী লিল্ফাতাউইয়ী’,২য় খণ্ড,২৬৪ পৃষ্ঠা]

ইমাম হায়তামী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) ওপরে বর্ণিত সর্বশেষ হাদীস সম্পর্কে বলেন, “আবূ ইয়ালা ও বাজ্জার এটি বর্ণনা করেছেন এবং আবূ ইয়ালার এসনাদে সকল বর্ণনাকারী-ই আস্থাভাজন।”
ইমাম হাফেয ইবনে হাজর আসকালানী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)-ও এই রেওয়ায়াতকে সমর্থন দিয়েছেন নিজ ‘ফাতহুল বারী’ গ্রন্থের ৬ষ্ঠ খণ্ডের ৪৮৩ পৃষ্ঠায়। [কাদিমী কুতুবখানা সংস্করণের ৬০২-৬০৩ পৃষ্ঠায়]

উপরে উল্লেখিত কোরঅানের আয়াত ও সহিহ হাদিসের দলিল এবং মেরাজের ঘটনা মাধ্যমে প্রমানিত হয় নবী-রাসূল আলাইহিস সালামগণ তাদের নিজ নিজ রওজাতে জিন্দা অবস্থায় রয়েছেন।

সুতরাং কোরআন এবং সহীহ হাদিসের ভিত্তিতে নবীগণ জীবিত, অস্বীকারকারীরা মুসলমানদের মধ্যে
অন্তর্ভুক্ত নয়।