বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৭

মুসলমান কারা?

পোষ্ট নং 49
মুসলমান অর্থ কি?
প্রকৃত মুসলমান কারা?
মাথায় টুপি মুখে দারি থাকলেই তাকে মুসলমান বলা যাবে না। নামাজ পড়তে পড়তে কপালে কালো কহর ফেললেও তারে মুসলমান বলা যাবে না। কোরআন পড়তে পড়তে মুখস্ত করলেও তাকে মুসলমান বলা যাবে না। এগুলো আমার কথা নয়, পাক পাঞ্জাতনের একজন প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর প্রাণ প্রিয় নাতি কলিজার টুকরা হযরত ইমাম হোসাইন (আঃ) বলেছিলেন।
কারবালায়.....
ইমাম হুসাইন (আঃ)এর লোক সংখ্যা ছিল 72 জন। আর ইয়াজিদের লোক সংখ্যা ছিল 30 হাজার। এরা সবাই কালেমা, নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত পালন করতো, ইমামতি করতো, খুৎবাহ দিত। ঐ ত্রিশ হাজার ইয়াজিদের সৈন্যদের মধ্যে আড়াইশত কোরানে হাফেজও ছিল। অথচ ইমাম হুসাইন (আঃ) তাদেরকে (ঐ আড়াইশ কোরানে হাফেজ সহ) সবাইকে মুসলমান বলেই স্বীকার করলেন না। তিনি তাদেরকে প্রশ্ন করেছিলেন ""আলাইছা ফি মুসলিমুন "" তোমাদের মধ্যে কি একজনও মুসলমান নেই?? অথচ আড়াইশ কোরানে হাফেজ ছিল। সুতরাং কোরআন হাফেজ টুপি দারি নামাজ রোজা এসব করলেই মুসলমান নয়। কারণ নামাজ তো ইয়াজিদ মীর জাফরও পরেছে। তাদের মাথায় টুপি ছিল, কপালে নামাজের দাগও ছিল, তবুও তারা মুসলমান নয়। কারণ মুসলমানের প্রকৃত অর্থ হলো : আত্ম সমর্পণকারী। আর আত্মসমর্পন তখনই হয় যখন কোন নবী, রাসূল পীর পয়গম্বর এবং কামেল মুর্শিদের কাছে নিজের জান, মাল, ইজ্জত অর্পণ করে তার পায়রবী করে। হযরত মাওলা আলী, ওসমান, ওমর, আবু বকর তারা ততখন পর্যন্ত মুসলমান হননি, যতোক্ষণ পর্যন্ত না নবীজীর নিকট  জান, মাল, ইজ্জত,বিলিয়ে দিয়ে বাইয়াত বা আত্মসমর্পন বা মুরিদ না হয়েছেন । খাজা বাবা ওসমান হারুনীর নিকট আত্ম সমর্পণ করেছেন, বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানি আবু সাঈদ মাখজুমীর নিকট আত্মসমর্পন বা মুরিদ হয়েছেন, নিজামউদ্দিন আউলিয়া শেখ ফরিদউদ্দিন এর নিকট , লালন সাঁইজি সিরাজ সাঁইজির নিকট  এভাবেই আত্মসমর্পন হয়ে মুর্শিদের খেদমত করে প্রকৃত মুসলমান এবং অলী আউলিয়া হয়েছেন। আত্মসমর্পন বা মুরিদ না হলে তাকে মুসলমান বলা যাবে না, সে কোরানের হাফেজ মৌলবী যাই হক। তার প্রমাণ প্রথমেই দিয়েছি কারবালার ইতিহাস টেনে। তাই কামেল মুর্শিদের চরনে আত্মসমর্পন কারীই প্রকৃত মুসলমান ও মুক্তির একমাত্র পথ।। জয় সাঁইজি, জয় হোক বিশ্ব মানবতার, সকল জীবের শান্তি কামনায় আমি।
........................সাজু

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন